ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল

প্রাইম এক্সচেঞ্জ কোং প্রাঃ লিঃ (PEC)-এর বাংলাদেশ, ভারত ও ফিলিপাইনে রয়েছে সুবিস্তৃত নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে রেমিট্যান্স সেবায় অর্থ প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী উভয়পক্ষই উপকৃত হয়। 

বাংলাদেশে সেবার আওতাসমূহ

প্রাইম এক্সচেঞ্জ কোং প্রাঃ লিঃ (PEC) প্রতিষ্ঠানটি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ-এর একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান। প্রাইম ব্যাংক-এর সেবা, সম্পদ, রিপোর্টিং স্বচ্ছতা এবং কর্পোরেট গভর্ন্যান্স-এর মানের কারণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময়ে পুরস্কার ও স্বীকৃতি লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল) ব্যাংকটিকে দীর্ঘমেয়াদী দায়শোধ ক্ষমতায় ‘AA+’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘ST-1’ রেটিং দিয়েছে। দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যাংক হলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা স্থাপনে সুকৌশলের পরিচয় দিয়ে, অন্যান্য ব্যাংকের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে আইনানুগভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে একটি নিজস্ব গ্রাহকশ্রেণি তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিএফটিএন)-এর অগ্রণী সদস্য হিসেবে প্রাইম ব্যাংক দেশের বাইরে থেকে আসা রেমিট্যান্স খুব দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে বিএফটিএন-এর অধীণ অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহককে পৌঁছে দিতে পারে।


 নিম্নে উল্লেখিত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্তে PEC রেমিট্যান্স উত্তোলনের ব্যবস্থা রেখেছেঃ

  • সোনালী ব্যাংকঃ নেটওয়ার্কের বিস্তৃতির হিসেবে দেশের অন্যতম বৃহত্তর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক সোনালী ব্যাংক যা ১২০০ এরও বেশি শাখা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
  • পূবালী ব্যাংক লিমিটেডঃ দেশের অন্যতম বৃহত্তর বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক পূবালী ব্যাংক যার ৫০০টিরও বেশি শাখা নিয়ে দেশজুড়ে কার্যপরিচালনা করছে।
  • ইসলামী ব্যাংকঃ দ্রুততম সময়ে রেডিক্যাশ ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
  • জনতা ব্যাংক লিমিটেডঃ  দেশের অন্যতম বৃহৎ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক জনতা ব্যাংক যা ৯০০টিরও বেশি শাখা নিয়ে দেশজুড়ে কার্যপরিচালনা করছে।

এছাড়া ব্যুরো বাংলাদেশ-এর মাধ্যমেও পিইসি অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকে।

  • ব্যুরো বাংলাদেশঃ ব্যুরো বাংলাদেশ দেশের অন্যতম বৃহৎ এনজিও যার দেশজুড়ে রয়েছে ৫০০টিরও বেশি শাখা। বাংলাদেশ ব্যাংক-এর অনুমোদনে তারা প্রাইম ব্যাংক-এর হয়ে রেমিট্যান্স-এর অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকে।
  • বিকাশঃ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ-এর সাথে চুক্তি অনুযায়ী, দেশব্যপী ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য বিকাশ আউটলেট ও বিকাশ ওয়ালেটে সিঙ্গাপুর থেকে সরাসরি রেমিট্যান্সের টাকা পাঠানো যায় খুব সহজেই।

ভারতে সেবার আওতাসমূহ

রুপি রেমিট্যান্স অ্যারেঞ্জমেন্ট-এর মাধ্যমে PEC প্রাথমিকভাবে ভারতে HDFC ব্যাংক-এর মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণ শুরু করে। HDFC ভারতের সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকটির রেমিট্যান্স সফটওয়্যার পোর্টাল ব্যবহার করে সিঙ্গাপুর থেকে ভারতে দ্রুততম সময়ে রেমিট্যান্স প্রেরণকে নিশ্চিত করে PEC।

 
বর্তমানে ভারতের ১,৩৯৯টি শহরে HDFC-র রয়েছে ২,৫৪৪ টি শাখা। প্রতিটি শাখা অনলাইন মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যুক্ত রয়েছে। এছাড়া ৫০০-এরও বেশি স্থানে গ্রাহকদের টেলিফোন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে সেবা প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি।
 
২০১৪ থেকে ICICI ব্যাংক, ইন্ডিয়া-র সাথে রুপি রেমিট্যান্স চুক্তি করে PEC। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্সের অর্থ প্রেরণ। সম্পদের পরিমান বিবেচনায় বর্তমানে আইসিআইসিআই ব্যাংক ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক। আইসিআইসিআই ব্যাংক-এর ভারতজুড়ে রয়েছে ৪,৪৫০টি শাখা এবং ১৪,২৫৪টি এটিএম বুথ যেগুলোর মাধ্যমে দেশটিতে রেমিট্যান্সের অর্থ প্রদান করে থাকে PEC।     

ফিলিপাইনে সেবার আওতাসমূহ

বাংলাদেশ ও ভারতে রেমিট্যান্স প্রেরণে সাফল্য অর্জনের পর সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত ফিলিপাইনের প্রবাসীদের এই সেবা প্রদানের জন্য ব্যাংকো ডি অরো (বিডিও ইউনিব্যাংক)-এর সাথে পেসো রেমিট্যান্স চুক্তিতে আবদ্ধ হয় PEC। বিডিও ফিলিপাইনের একটি পূর্ণ সেবা প্রদানকারী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান।


 BDO-এর রয়েছে সুবৃহৎ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক। প্রতিষ্ঠানটির ১০০০ এরও বেশি শাখা এবং ৩০০০ এরও বেশি এটিএম (একটি নেটওয়ার্ক ব্যাংকসহ) রয়েছে। সমষ্টিগত সম্পদ, গ্রাহক লোন, ডিপোজিট, ব্যবস্থাপনাধীন সম্পদ এবং মূলধনের পরিমাণ ও একই সাথে শাখা এবং এটিএম-এর সংখ্যা বিবেচনায়ও BDO ফিলিপাইনের বৃহত্তম ব্যাংক।